পৃথিবীর সব সুর থেমে যাওয়ার পর কি হবে?

 


তরুণ উদীয়মান লেখক বিনিয়ামীন পিয়াস তার নতুন  বই বের করছেন সতীর্থ প্রকাশনী থেকে। বইটির নাম পৃথিবীর সব সুর থেমে গেলে পর।


বইয়ের খবর ছাপাবার টাইট বই খবর সম্প্রতি তার একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছে। সেখানে তাকে কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। সেখানেই তিনি উত্তর দিয়েছেন।


প্রশ্ন ১


পিয়াস আপনি পাঠক  হিসেবে কত বছর পার করছেন?


উত্তর: শৈশবেই আমার গল্পের জগতে প্রবেশ। ছোটদের ভূতের গল্প থেকে শুরু করে নোয়াহ হারারীর সেপিয়েন্স অবধি আসতে আসতে পাঠক হিসেবে পার করেছি প্রায় বিশ বছরের মতো সময়। কৈশোরে বইয়ের প্রতি তুমুল আগ্রহ থাকলেও পড়ার সুযোগ ছিল কম, তাই হাতের কাছে যা পেতাম তাই পড়তাম৷ ঘরে থাকা বইগুলো বার-বার পড়তাম। এরপর যখন ম্যাগাজিন সংগ্রহ করার সুযোগ ঘটল তখন রহস্যপত্রিকা, কিশোর কণ্ঠ, কিশোর আলো এগুলোও নিয়মিত পড়তাম। তবে, আমার পাঠকসত্ত্বার পূর্ণ বিকাশ ঘটেছে মূলত ২০১৬-১৭ এর পরবর্তী সময়টাতে। 



প্রশ্ন ২


লেখক নাকি পাঠক, কে বেশি শক্তিশালী?


উত্তর: দুটো সম্পূর্ণ আলাদা সত্ত্বা। কোনোটার সাথে কোনোটার তুলনা দেয়া সম্ভব বলে মনে হয় না। বরং একটা সত্ত্বা আরেকটাকে প্রভাবিত করে বলেই আমার মনে হয়। তবে, আমি বিশ্বাস করি দুটো সত্ত্বারই নিজ নিজ ক্ষেত্রে যথেষ্ট শক্তিশালী ভূমিকা রাখার সক্ষমতা আছে।


প্রশ্ন ৩


আপনার ভবিষ্যতে কোন কোন জনরার উপর কাজ  করার ইচ্ছা আছে?


উত্তর: স্পেসিফিক কোনো জনরাতে নিজেকে আবদ্ধ রাখার ইচ্ছে নেই। যদিও আমার সাম্প্রতিক কাজগুলোর বেশিরভাগই থ্রিলার, সাই-ফাই বা পরাবাস্তব জনরার। তবে, যখন যে ধরণের গল্প মাথায় আসবে সে ধরণের লেখাই আমি লি


খব। কোনো নির্দিষ্ট জনরা মাথায় রেখে গল্পকে সেদিকে ধাবিত করার কোনো ইচ্ছে নেই।


প্রশ্ন ৪


থ্রিলার নিয়ে আপনার কি ভাবনা?


উত্তর:  থ্রিলার বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় একটি জনরা। আমি নিজেও প্রচুর থ্রিলার পড়ি এবং সময় পেলে লেখিও বটে৷ তবে, জনপ্রিয় হওয়ার কারণেই কিনা কে জানে লেখকদের মধ্যে যে-কোনো গল্পকে জোর করে থ্রিলার বানানোর একটা চেষ্টা মাঝেমধ্যে দেখতে পাই। এই ব্যাপারটা একটু অ্যালার্মিং মনে হয় আমার কাছে। থ্রিলার হোক বা অন্য যে জনরাই হোক, লেখাতে একটা ন্যূনতম সাহিত্যমান থাকা উচিৎ। 



প্রশ্ন ৫

একজন ভালো লেখক হতে হলে নতুনদের কি করা উচিত?


উত্তর: অনুকরণ না করে নতুন কিছু করার স্পৃহা থাকা উচিৎ। "অমুক লেখক এভাবে লিখেছেন এবং পাঠক সেটা সাদরে গ্রহণ করেছেন তাই আমিও এভাবে লিখব" এই মনোভাব বাদ দিয়ে বরং নিজের মতো করে লিখে যাওয়ার ইচ্ছেশক্তি ও ক্ষমতা দুটোই থাকা উচিৎ। আর অবশ্যই নিয়মিত লেখালিখি করা। লেখার মানোন্নয়নে নিয়মিত লেখার কোনো বিকল্প নেই।

বইটি রকমারি থেকে প্রি-অর্ডার করার লিংক- এখানে ক্লিক করুন


Comments

Popular posts from this blog

মস্তিষ্ক, ফাঁসি ও আমাদের আসাদুজ্জামান শাহিনঃ সমকালীন চিন্তাভাবনার সাক্ষাৎকার

বইমেলা ২০২৪ এ আসছে রাগিব নিযামের "এক ডজন ভয়"